একজন পতিতার প্রেমের গল্প
সোনাগাঁও। নদীর তীর ঘেঁষে দড়িয়ে থাকা
ছোট বড় ঘর বাড়ি আর সারিবদ্ধ নারকেল গাছের সমারোহ। সাথে সবুজের অবিরাম পদচারণ। দেখতে খুবই সুন্দর। মন কাড়ে অনেকের। জায়গাটার নাম অবশ্য কালের বিবর্তনে এখন হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকে এই নামে এখন চিনেই না। জায়গাটা এখন পতিতা পল্লি নামে খ্যাত।
ছোট বেলা খুব বেশি বাবা মায়ের সোহাগ পাইনি।
বাবাকে তো দেখেছি মনেও পড়ে না।
মায়ের পিঠা খেতে খুব মজা লাগতো। মায়ের
পিঠা খেয়ে সবাই মা কে পয়সা দিত। পরে বুঝলাম মা পিঠা বিক্রি করে। আকবর চাচা যখন সাইকেলে তার মেয়ে রুনু কে স্কুল থেকে নিয়ে আসতেন আমি তখন মায়ের কাছে বলতাম "মা
আমার বাবা আসে না কেন? " মা বলত বাবা অনেক
দূরে গেছে আসবে একদিন। আমার প্রতিদিন
বাবার অপেক্ষায় কাটতো। বাড়ির পশ্চিম পাশে
অনেক বড় বিল ছিল। আমি সেখানে পা ডুবিয়ে
বসে থাকতাম। ভাবতাম বাবা আসলে মায়ের আগে
আমি দেখব। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মা গিয়ে আমাকে
নিয়ে আসত বিল থেকে। রুনু একদিন বলল "শশি
তোর বাবা ঈদের জামা কিনে দেবে না? আমার
বাবা সুন্দর জামা নিয়ে আসছে"
আমি বললাম আমার বাবা ঈদের আগে আমাকে জামা
কিনে দেবে। আর তোর থেকে সুন্দর জামা
দেবে। ঈদ চলে গেল। বাবা এল না। মায়ের পিঠা
বিক্রি অনেক দিন বন্ধ। মা অসুস্থ। আমার ঈদের
জামা হল না। স্কুলের বেতন দিতে পারেনা তাই
মাষ্টাররা বকা দেয়। রাগ হয়ে আর স্কুলে যায়নি।
মায়ের সাথে তখন আমিও পিঠা বানানো শিখে
গেছি। খুব ভাল বানাতে পারি। বড় হতে হতে
কখন যেন মেয়েদের সমস্ত স্বাভাবিক বৈশিষ্ঠ
আমার ভেতর ফুটে উঠল। মা বিয়ে দেয়ার
প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করল। কিন্তু সামার্থ না থাকায়
বিয়ের খরচ আর ভাল ছেলের অভাবে আমাকে
নিয়ে মায়ের খুব ঝামেলা হল। পিঠা বিক্রি করতে
এখন মা আর আমাকে নিতে চায়না। এখন পিঠার
থেকে ছেলে ছোকরা দের নজর আমার
দিকে বেশি। মায়ের বুক ব্যথা থেকে থেকে
এত বেড়ে গিয়েছিল সেটাই ছিল মায়ের শেষ
রাত। ডাক্টার বাড়িতে আসার আগে মা চলে গেল।
আমাকে সান্তনা দেয়ারমত কেউ ছিল না। রুনুর
বিয়ে হয়ে গিয়েছিল না হলে ও আমার সাথে
থাকত। রহিমা খালা আমাকে দুদিন তার বাড়িতে
রেখেছিল। কিন্তু তার স্বামির সাথে আমাকে
নিয়ে আলোচনা সমালোচনা লেগেই থাকত।
নিজের কথা না ভেবে বাসায় চলে এলাম। ঘর ভাড়া
নিয়ে বাড়িওলার চাপে অসহ্য হয়ে গেলাম। একদিন
রাতে চুপিচুপি সে আমার দরজায় এল। কুপ্রস্তাব
দিল। বলল সব ভাড়া মাফ করে দেবে। কুত্তার
বাচ্চা বলে গালি দিয়েছিলাম। সকাল হতেই আমার
ঘরের সব কিছু বাইরে ফেলে দিল সে।
বেচে থাকা কত কঠিন এখন বুঝি। প্রতিটা পায়ে
পায়ে বিপদ। আর একটা মেয়ে আমি। সন্ধ্যা হবে
হবে এমন সময় টিনের ছাউনিটার নিচে গিয়ে
দাঁড়িয়েছি। আমার মত আরও চারটা মেয়ে আছে।
তারা সবাই আমার বড়। খদ্দের আজ কম মনে হয়।
পা কাপছে কেন যেন। নিজের স্বতিত্ব বিক্রি
করে পেট চালাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।মরতে
গিয়েছিলাম সাহস হয়নি। একজন পুরুষ ঢুকল
ছাউনিতে...
ঢুলু ঢুলু চোখে আমাকে দেখছে। একটা
ঝাঁঝালো গন্ধ পাচ্ছি। কেউ একজন বলল বেটা
আজ মদ গিলেছে ভরপুর। তখন বুঝলাম এটা
মদের গন্ধ।
- রেট কত?
কর্কশ কন্ঠটায় মায়াদয়া নেই কোন। এর কাছে
নিজেকে সপে দেয়া সম্ভব না। এভাবে এক
এক জনের বিরুদ্ধে এক একটা অজুহাত তৈরি
করেছি। সাড়া দিতে মন চাইনা। রাতের নিস্তব্ধতায়
কাদি। কেন আমি ছেলে হয়ে জন্মালাম না!
হঠাৎ বৃষ্টির ভেতর একটা ছেলে ছাউনিটার নিচে
ঢুকে পড়ল। পেছনে কতগুলা ছেলে ধাওয়া
করছে তাকে। আমার দিকে ফিরে হাত জোর
করে ইশারা করল চুপ থাকতে। ওরা চলে
গেছে। বেঞ্চের কোনায় বসল ছেলেটা।
পকেট হাতড়ে কিছু টাকা বের করল খেয়াল
করে দেখলাম দুইশ টাকার বেশি হবে না। টাকা
গুলো আমার দিকে বাড়িয়ে ধরল। অবাক হয়ে
তাকিয়ে থাকলাম।
- এইটা রাখেন।এর বেশি নাই আমার কাছে।
- কিসের জন্য?
- এক দিন অন্তত আপনাকে অন্যের খোরাক
হতে হবে না।
মনে মনে হিসেব করে দেখলাম আজ তের
তম দিন আমি এক একটা অজুহাত বানিয়ে নিজেকে
পবিত্র রাখলাম। আজ অন্তত অজুহাত অন্য
একজনের। টাকাটা নিলাম।
- আসি...
বৃষ্টির বেগ প্রচন্ড। ছেলেটা তার ভেতর
রাস্তায় নেমে পড়ল। একবার,দু....তিন বার পিছু
ফিরে চাইলো.....
;
পরদিন আবার এল ছেলেটা। আজকের আকাশ
পরিষ্কার। খদ্দের বেশি,মেয়েরাও বেশি আজ।
ছেলেটা কাউকে খুঁজছে। আমাকে দেখে
এগিয়ে আসল।
- চলেন...
- কোথায়?
- যেখানে কেউ দেখেনা...
প্রথমে ছেলেটাকে ভাল মনে হয়েছিল।
কিন্তু সবাই এক।পুরুষ জাত তো...
- এই রুমে ঢোকেন।
সমস্ত চিন্তা চেতনা লোপ পেয়েছে। হয়ত
আজই বিসর্জন দিতে হবে নিজেকে। একটা ভাল
লাগা কাজ করছে। কেন যেন মনে হচ্ছে
ছেলেটা অনেক চেনা।
- কি হল ঘরে না গিয়ে এদিকে নিয়ে এলেন
কেন?
- কি নাম তোমার?
- শশি..
- আমার নাম প্রহর। কাল ওই ছেলে গুলার সাথে
একটা মেয়ের টানাহেঁচড়া দেখে মেয়েটাকে
সাহায্য করেছিলাম,নিজেকে পুলিশ বলে।ধরা
খাওয়ার পর ওরা আমাকে তাড়া করল।
- হি হি হি...
আমি অনেকক্ষন হাসলাম। ছেলেটা আমার দিকে
তাকিয়েই রইল। মনে হল শেষ কবে হাসছি? নাহ
ঠিক মনে নেই। ছেলেটা এখনো আমার দিকে
তাকিয়ে আছে।
- তোমার হাসিটা অনেক সুন্দর।
প্রথম বার কোন ছেলের কাছে নিজের প্রশংসা
শুনে ভেতরে কেমন পুলকিত হয়ে উঠল। সে
চলে যাওয়ার আগে আমার হাতে আজও দুইশ টাকা
দিয়ে গেল। কি চাই সে? আমাকে ছুঁয়ে ও দেখল
না।
এটা রুটিন এখন প্রতিদিন সে আসে।আমিও অপেক্ষা
করি তার জন্য। আজও চলে যাচ্ছে...
- এই যে শোনেন?
- হু বল...
- আপনি প্রতিদিন টাকা দেন আমাকে কিন্তু আমাকে
কখনো ছুঁয়ে দেখেননি।
- ভাল লাগাকে কি টাকা দিয়ে পরিমাপ করা যায়?
;
সেদিনের কথাটার মানে আমি বুঝিনি। আজ অনেক
দিন হল আসে না। পথ চেয়ে আছি আসবে সে।
কিন্তু আসে না। মোহ কেটে গেছে হয়ত। হঠাৎ
আমাকে ভুল প্রমান করে দুই সপ্তাহ পর এল সে।
- এত দিন আসেননি কেন?
- অপেক্ষা করছিলে?
কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।চুপ করে রইলাম।
- আমি যে গাড়িতে হেল্পারি করি সেটা এক্সিডেন্ট
করে অচল হয়ে গেছে। আর একটা নতুন কাজ ঠিক
করতে দেরি হল। আর কাজ ছাড়া পয়সা আসবে
কিভাবে?
- আপনার কথা শুনে মনে হয় আপনি শিক্ষিত
ছেলে।
- হুম ইন্টার দিয়েছিলাম। কিন্তু মা বাবা ছাড়া বা কোন
ছাউনি ছাড়া কতদুর একা একা চলা যায়? আমিও তোমার মত
একা...
- কতটাকা পান প্রতিদিন যে আমাকে দুশো টাকা
দেন?
- দুশো টাকাই আমার বেতন প্রতিদিন।এর মাঝে কিছু
খুচরা আছে ওতে আমার চলে যায়।
নিরবতায় গ্রাস করল আমাদের। কেউ কথা বলছি না।
বলার মত আসলে নেই কিছু। পৃথিবী টা এমনই যে
একজন দুজন কে দিয়ে ভাল মন্দের বিচার হয়না।
- এই পেশায় কেন এলে?
প্রশ্নটা শোনার পর আমার গায়ের পশম দাঁড়িয়ে
গেল। তাহলে আমি কি পতিতা হয়ে গেছি? আমাকে
এখনো কোন পুরুষ ছুতেও পারেনি। ছেলেটার
বা কি দোষ ও তো জানে না!
আমার দুচোখ ভিজে উঠল।
- কি হল কাঁদছ কেন?
- কিছুনা এমনি।
- যাবে আমার সাথে?
- কোথায়?
- আমি যেখানে থাকি!
- কি করব গিয়ে?
- একটা ছেলে একটা মেয়ে একসাথে থাকার জন্য
যা যা করতে হয়।
- বিয়ে করবেন?
- হুম...
- আপনাকে ভদ্র সমাজ কি বলবে?
- ভদ্র সমাজ কাদের বলছ? রাতের অন্ধকারে এই
ভদ্র লোকেরাই তোমাদের খদ্দেরে পরিনত
হয়।
- একটা বেশ্যার সাথে কেন সম্পর্ক করতে
চাইছেন?
- তোমার অতীতকে আমি দেখিনা।
- ফিরে যান...
- খালি হাতে যাব না।
- আমার ঘরে যেতে চান?
- আরও আগেই পারতাম।
- ঘর সংসার আমাদের জন্য না।
- ভাতের জন্য মানুষ খুনও করে মানুষ। তুমি তো
অতটা নিচে যাওনি। একজন মানুষ খুন করা মানে সমগ্র
জাতীকে খুন করা।
- এতটা আশা দেখাবেন না দয়া করে।
- ভালবাসতে চাই তোমাকে।
;
প্রশয় দিয়েছিলাম সেদিন তার কথাগুলোকে। মনের
অজান্তেই তার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতাম। এটা
আমার কল্পনারও অতীত।কেউ আমাকে ভালবাসবে
এটা ভাবতাম না। গায়ে পতিতার চাদর পরতে চাই কে?
বেচেঁ থাকার জন্যই সব কিছু। একটু খানি আশা নিয়ে
এখনো অপেক্ষা করছি তার। কোন পুরুষ আমাকে
শয্যাসঙ্গিনী করতে পারেনি। একজনের জন্য
আজ বেচেঁ থাকার জন্য নতুন স্বপ্ন দেখি। আমারও
ঘর হবে,সংসার হবে,একটা ফুটফুটে বাবু.....
এর বেশি ভাবতে পারিনা। চোখ ভিজে যায়। আর
ভালবাসার পরশ দিয়ে যায় তার জান্য। আজ আসবে
সে। আমার জন্য লাল শাড়ি নিয়ে আসবে। তার জন্য
পাঞ্জাবী...
খুব আফসোস তার জন্য আমি কিছুই কিনতে পারব না।
আমার চোখের ভাষা সে খুব ভাল পড়তে পারে
তাইতো আমার মাথায় হাত রেখে সেদিন বলে
গিয়েছিল। "আমাদেরও ভাল সময় আসবে সেদিন
তুমিও আমাকে অনেক কিছু দিতে পারবা।"
আমি তার হাত ধরে কেঁদেছিলাম শুধু। ভাললাগার শুরু
ছিল তখন থেকে...
কখন আসবে সে! অনেক্ষন অপেক্ষা করছি।
সে এলে আমাকে বউ সাজিয়ে নিয়ে যাবে। চুলে
আজ ফুল গুজে সেজেছি। চোখে কাজল
মেখেছি। তার নাকি কাজল চোখ খুব পছন্দ। ইশ যদি
একটু কাচের চুড়ি থাকত। তার কাচের চুড়িও নাকি ভাল
লাগে। শুধু তার আর তার পছন্দে নিজেকে সাজাচ্ছি।
নিজের কাছেই লজ্জিত হচ্ছি বার বার...
এখনো আসছে না কেন সে?
আয়নাটা বার বার মুছে পরিষ্কার করছি। কোথাও
কোন খুত আছে কিনা চেহারায় বোঝার চেষ্টা
করি। নাহ কোথাও খুত নেই মনে হয়। মেকাপ ছাড়া
মনে হয় ওদের থেকে কম কিছু না আমি। আজ
কেন যেন নিজেকে এত বেশি সুন্দরী লাগছে।
রাতও বাড়ছে কিন্তু আসছে না কেন?
তাহলে কি সেও ওদের মত? সে তো আমাকে
ভালবাসে বলেছে। তাকে তো ভালবাসি আমিও।
সে আমাকে ঠকাবে না। নিজেকে এভাবে সান্তনা
দিয়ে আর কত...
ফজরের আজান হয়ে গেল। কাজল গুলো দু
গালে দাগ ফেলেছে কালির। চোখের পানি
শুকিয়ে গেছে কিন্তু কাজলটা মেখে আছে
গালে। সে আসেনি...
;
দুই বছর পর...
কাচা বাজার থেকে বড় মাছটা বেছে নিয়েছে
শশী। বড় মাছ এখন ওকে দেখলেই ছত্তার মিয়াঁ
মেপে দিয়ে দেয়। রিক্সা করে বাসায় যাওয়ার জন্য
দাঁড়িয়ে আছে শশী। হঠাৎ চোখ আটকে গেল
হাক ছেড়ে পেপার বিক্রি করা এক যুবকের দিকে।
যুবকের চোখে সানগ্লাস। প্রহরের চেহারা
চিনতে অসুবিধা হলনা শশীর।
ওর পাশে গিয়ে দাড়াতেই বলল কোন কাগজ চাই?
- খুব অভিনয় শিখেছ দেখছি। ও অভিনয় তো তুমি
অনেক আগে থেকেই পারো না হলে একটা
পতিতাকে সুন্দর জীবন দেয়ার আশা দেখাতে
কিভাবে!
নিথর হয়ে শুনছে প্রহর।
- কি হল কথা বলছ না কেন?
- কেমন আছ শশী?
- দেখে বুঝতে পারছ না কেমন আছি? প্রতি রাতে
এখন পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা কামাই।আর আমার
খদ্দেররা অনেক বড় বড়। আর আমার ডিমান্ড টাও
খুব বেশি। এক রাতের ইনকাম দিয়ে চাইলে পুরো
মাস চালিয়ে দেয়া কিছুইনা।
একটুকরা হাসি ফুটেই আবার হারিয়ে গেল প্রহরের
ঠোটের কোনে...
- ভাল বেশ ভালই আছ তবে!
- একটা চিটার থেকে ভাল আছি।
- হুম...
> এই মামা একটা চাকরীর খবর দেন তো...
একগাদা পেপার হাতড়ে বের করে লোকটার
গাতে দিল প্রহর। দশ টাকার নোটটাও আঙুল দিয়ে
ঘষেঘষে পাঁচ টাকা ফিরিয়ে দিল লোকটাকে।
দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম শুধু। আমি জানিনা
ছেলেটাকে এখন কি বলা উচিৎ আমার। অন্ধ সে???
- প্রহর???
- একটা শাড়ি খুব বেশি পছন্দ হল। ওটার দাম বলল দুই
হাজার টাকা। আমার কাছে দুশো টাকা কম ছিল।
ভেবেছিলাম পাঁচশো টাকার ভেতর একটা
পাঞ্জাবী। আর বাকিটাকা দিয়ে শাড়ি কিনব। ওইটার দাম
শুনে ভাবলাম পাঞ্জাবী ছাড়াই বিয়ে করব। তাও আরও
দুশো টাকা দরকার। টার্মিনাল গিয়ে আবার গাড়ি ধোয়ার
কাজ করলাম। একদল ছেলে হঠাৎ করে গাড়িতে
পেট্রোল বোমা ছুড়াছুঁড়ি করল। ককটেল ফুটল
কয়েকটা। তারই একটা আমার চোখ কেড়ে
নিয়েছে...
আমি তখন আর মাটির উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না।
আমার জন্যই একটা ছেলে জীবন থেকে
ছিটকে পড়ল।আর আমি কি না তাকেই.....
- ভাই পেপার নেন পেপার...
ওর দিকে চেয়ে কেঁদে ফেললাম।ও
জীবনের কাছে হারেনি। হেরেছি আমি। আমার
পেশায় কোন সম্মান নেই। ও অন্ধ,ওর টাকা
নেই,কিন্তু সমাজের কাছে আমার থেকেকে ওর
সম্মান বেশি।নিজের অপরাধ বোধ এতটাই
তীব্রতর হল যে মনে হল ওর জুতার সমান দামও
নেই আমার। ভদ্র ভাষায় পতিতা যার নিচে আর একটা
পরিচয় আছে "বেশ্যা"...
;
দুজনে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আজ। তার কাজটা নিজের
করে নিয়েছি। তার পারমিশন না নিয়েই। সে হাক
ছেড়ে ডাকছে "কাগজ নেন ভাই"
আমি তার হাত ধরে দাঁড়িয়ে.....
সেদিন সন্ধ্যা বেলা (গল্প)
ReplyDeleteVisit More Information