হারাম_রিলেশন_থেকে_বিরত_থাকুন
#হারাম_রিলেশন_থেকে_বিরত_থাকুন
একটু ধৈর্য ধরে পড়ুন 💛🌿
আসসালামু আলাইকুম। বর্তমানে আমি এবং আমার ওয়াইফ দুইজনই সরকারি চাকরিজীবী। আমাদের তিন বছরের একজন ছেলে সন্তান রয়েছে।
আমার ওয়াইফ আমার থেকে এক বছরের ছোট। আমাদের প্রেমের বিয়ে ছিলো এবং তার ফ্যামিলি থেকে প্রথমদিকে সাপোর্ট না থাকলেও পরবর্তীতে দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিবাহ সম্পন্ন হয়। এখানে তার অবদানই বেশি ছিলো কারণ সে আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসতো। উল্লেখ্য বিয়ের সময়ে আমি বেকার ছিলাম যদিও আল্লাহর মেহেরবানীতে বিয়ের এক বছর পরই আমার ভালো চাকরি হয় এবং আমার ওয়াইফের কোলজুড়ে একজন ছেলে সন্তান আসে আলহামদুলিল্লাহ।
আমার ওয়াইফের স্বপ্ন ছিলো প্রতিষ্ঠিত হওয়া। আমি প্রথমে বারণ করলেও তার জেদের কাছে হার মেনে রাজি হই। তার রেজাল্ট ও অনেক ভালো এটাও একটা বড় কারণ।
আমার ওয়াইফ মেধাবী দরূণ সে খুব তাড়াতাড়ি ই সরকারি চাকরি পেয়ে যায়। তার প্রথম পোস্টিং হয় আমার থেকে প্রায় ৩০০ কিঃমিঃ দূরের একটি শহরে। আমার প্রথমে অনেক খারাপ লাগবে ওয়াইফ এবং সন্তানকে ওয়াইফের ইচ্ছে অনুযায়ী সেখানে পাঠাই।
আমাদের দিনগুলো খুব ভালোই চলছিলো। সে ছুটিতে আমার কাছে আসতো আর আমিও যেতাম। এভাবেই এক বছর কেটে যায়। এরপর আমার ওয়াইফের যাতায়াতে সমস্যা এবং বাচ্চা ছোট দেখে আমি আমার বাবাকে বলে তাকে একটা গাড়ি কিনে দেই যাতায়াতের সুবিধার জন্য।
এরপর দুইমাস পরের ঘটনা। হঠাৎ পরিবর্তন লক্ষ্য করি তার মধ্যে। রাতে ঘুমিয়ে যায় তাড়াতাড়ি কথা কম বলে। আমি ভাবতাম অফিস বাচ্চা আবার প্রেগনেন্সির জন্য সে ক্লান্ত থাকে বেশিরভাগ সময়েই।
কিন্তু ব্যপারটা আসলে অন্যদিকে মোড় নেয়। আমার ভার্সিটির কোন এক ক্লাসমেটের মাধ্যমে জানতে পারি তার অফিসেরই এক কলিগের সাথে আমার ওয়াইফের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
প্রথমে সে সবকিছু অস্বীকার করে এবং আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয় আরও। এভাবে চলতে চলতে আমার জোরাজোরিতে সে স্বীকার করে তার সম্পর্কের কথা এবং এটাও জানায় যে সে তার বর্তমান প্রেমিকের সন্তানের মা হতে চলেছে।
এটা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আমাদের জয়েন্ট অ্যাকাউন্টেও দেখি আর কোন টাকা নেই। এদিকে এসব শুনে আমার মা স্ট্রোক করে।
গত কয়েকটা মাসে আমি তার হাত পা ধরে তার ভুল শোধরানোর চেষ্টা করি কিন্তু সে কিছুতেই রাজি নয়। এরপর বাধ্য হয়েই তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাই কিন্তু তাতেও সে রাজি না। আমার একমাত্র সন্তানকে সে ঠিকমতো দেখাশোনা করেনা এবং তাকে আমার কাছেও দিতে চায়না।
এই মূহুর্তে আমার কি করা উচিৎ? আমি কিছু ভেবে পাচ্ছিনা। আমার আত্নহত্যা করতে ইচ্ছা করে কিন্তু পারিনা। আমি আমার কলিজার টুকরো সন্তানটাকে কিভাবে ফেরত পেতে পারি?
কেউ একটু বলবেন? কিভাবে আমি আমার বাচ্চাকে ফেরত পাবো? আমার টাকা পয়সা চাইনা কিছু। আমি সারাটা জীবন লয়েল থাকা সত্ত্বেও এমন কেন হলো আমার সাথে? এতো বেশি ভালোবাসার কি শেষ পরিণাম এটাই? আমি মানতে পারছিনা কোনভাবেই।
ভুলত্রুটি মাফ করবেন এমন অবস্থায় গুছিয়ে লেখার মতো কোন শক্তি আমার অবশিষ্ট নেই।
#সংগৃহীত
#এখান_থেকে_সবশেষে এটাই বোঝা যায় যে,হারাম সম্পর্কে ভালো কিছু কোনোভাবেই আশা করা যায় না আর মেয়েরা বাহিরে নিরাপদ নয়,কখনো নিজের জন্য আবার কখনো বা অন্যের জন্য।
Comments
Post a Comment