চুয়াডাঙ্গা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

চুয়াডাঙ্গা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?
চুয়াডাঙ্গা জেলা

চুয়াডাঙ্গা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের ১টি প্রশাসনিক অঞ্চল। আজকে আমরা জানবো এই চুয়াডাঙ্গা জেলা কিসের জন্য বিখ্যাত?

কৃষি:

চুয়াডাঙ্গা বাংলাদেশের মধ্যে ভুট্টা,পান,শাকসবজি, খেজুরের গুড় উৎপাদনে ১ম জায়গা অর্জন কারী জেলা । এই ছাড়া বাণিজ্যিক কুসুম এবং আম উৎপাদনে বাংলাদেশের জেলাসমূহের ভিতরে দ্বিতীয়। এই জেলার বেশিরভাগ লোক কৃষিকাজে নিয়োজিত। শ্রমশক্তির ৫৮% কৃষিকাজে, ও মাত্র ২২% বিজনেস বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট। আবাদযোগ্য জমির সংখ্যা ৮৯৪.২০ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে ৯৯% কোন না কোন শ্রেনীভেদ সেচ ব্যবস্থার আওতাধীন।

ব্যবহৃত ভূমির মধ্যে আবাদী কৃষিখেত ৮৯৪.২ বর্গকিলোমিটার; অনাবাদী জমি ২.৫৪ বর্গকিলোমিটার; দুই নফসলী কৃষিখেত ১৪.৮৫%; তিন ফসলী জমি ৭৩.৮৫%; চার ফসলী জমি ১১.৮০%; সেচের আওতাভুক্ত আবাদী ভূমি ৯৯%। ভূমিস্বত্বের ভিত্তিতে ৩৭% ভূমিহীন, ৪৩% নিম্ন বর্গীয়, ১৮% মধ্যম ও ২% ধনী; মাথাপিছু আবাদী জমির সংখ্যা ১,১০০ বর্গমিটার। প্রতি ১০০ বর্গমিটার মানসম্মত জমির বাজারমূল্য আনুমানিক ১,০০,০০০ টাকা।

প্রধান শস্য ধান, ভুট্টা, পান,পাট,গম, আলু, আখ, তামাক,বেগুন, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল,বাঁধা কপি,পাতা কপি,মুলা,গাজর,ধনে পাতা,ঢেরশ,বরবটি, শিম, কুমরা, বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং নানারকম প্রকার শাক সবজি । বিলুপ্ত বা প্রায়-বিলুপ্ত শস্যের মধ্যে বিদ্যমান তিল, তিসি, সরিষা, ছোলা, আউশ ধান এবং নীল।

প্রধান ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপেঁ, পেয়ারা, কুল,পান, নারিকেল ও কলা।

জেলায় রয়েছে অসংখ্য মুরগির খামার, মাছের খামার, গরুর খামার ও বড় জ্যেষ্ঠ মুরগি,হাঁস এবং মাছের হ্যাচারি। জীবননগরে অবস্থিত দত্তনগর ফার্মটি এশিয়ার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষিখামার হিসেবে পরিচিত।


শিক্ষা:

দেশের নিরক্ষরমুক্ত জেলা হিসেবে পরিচিত। সমগ্র জেলার শিক্ষার হার ৫৯ % ও শহরের জনসংখ্যার ৭০% শিক্ষিত। জেলায় ১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯টি মহাবিদ্যালয়, ১৪০টি সেকেন্ডারি বিদ্যালয় এবং ৪৪৫টি রাষ্ট্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মাদ্রাসা রয়েছে ৩৯টি, পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট রয়েছে ৫টি, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ভিত্তি রয়েছে ১টি, টিটিসি একটি এবং পিটিআই রয়েছে ১টি। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ (১৯৬২), দর্শনা সরকারী কলেজ (১৯৬৯), চুয়াডাঙ্গা পৌর মহাবিদ্যালয় (১৯৮৩), চুয়াডাঙ্গা  মেয়ে মহাবিদ্যালয় (১৯৮৩), জীবননগর কলেজ (১৯৮৪), ভি. জে. (ভিক্টোরিয়া জুবিলি) রাষ্ট্রীয় শীর্ষ বিদ্যালয় (১৮৮০), নাটুদা সেকেন্ডারি বিদ্যালয় (১৯০৬), দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল (১৯১৩), আলমডাঙ্গা বহুমুখী (পাইলট) মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৪), মেমনগর বি.ডি. মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), কুড়লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২৩), হাটবোয়ালিয়া শ্রেষ্ঠ সেকেন্ডারি বিদ্যালয় (১৯২৫), কলাবাড়ি-রামনগর সেকেন্ডারি বিদ্যালয় (১৯২৬), মুন্সিগঞ্জ একাডেমি (১৯৩৫), কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৪০), ওসমানপুর প্রাগপুর মাদ্রাসা (১৯৪৯), কুনিয়া-চাঁদপুর মাদ্রাসা (১৯৫৮), বদরগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসা (১৯৬৪)।


নদ-নদী:

চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেকগুলো তটিনী রয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদ, কুমার নদ, মাথাভাঙ্গা নদী।

(তথ্য: উই কি পিডিয়া এবং সংশোধিত) 

Comments

Popular posts from this blog

একজন পতিতার প্রেমের গল্প

What are the benefits of exercising in the morning?

Know the right time to exercise