এক পশলা রোমান্টিক বৃষ্টি

এক পশলা রোমান্টিক বৃষ্টি
রোমান্টিক গল্প

আমি তাহমিনা আক্তার স্বর্ণা। আজ আমার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম বিয়ে হয়েছিল চার বছর আগে। তখন আমাদের বাড়ির উঠানে গায়ে হলুদের স্টেইজ বানানো হয়েছিল। হলুদ বাটো মেনদি বাটো অনুষ্ঠান হয়েছিল। বাড়ি থেকে রাস্তা অবধি লাল নীল মরিচা বাতি খেলা করেছিল। পরিচিত সকলে আমার গায়ে হলুদ মেখে সে-কি আনন্দ! বিয়ের দিন পুরো এলাকার প্রতি ঘর থেকে দুইজন একজন করে বাড়ির উঠানে বসে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিল। 

আজও আমার বিয়ে। কিন্তু আজ উঠানে কোনো স্টেইজ নেই। বাড়ির উঠান ভর্তি খাওয়ার আয়োজন নেই। গতকাল আমার গায়ে ঘটা করে কেউ হলুদ মাখাতেও আসেনি। জ্বলেনি কোনো লাল নীল মরিচা বাতি। দ্বিতীয় বিয়ে বলেই হয়তো সবকিছু সংক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। গ্রামে মধ্যবিত্ত পরিবারে এক মেয়ের একাধিক বিয়েতে বারবার আয়োজন করতে হয় না। লোকে মুখ টিপে হাসবে হয়তো। আমি আলাদা ঘরে টেবিলে কনুই ঠেকিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছি। গ্রামে কথিত আছে, গালে হাত দিয়ে বসে থাকলে স্বামীর অমঙ্গল হয়। আমি বুঝে উঠতে পারছি না, আমার কোন স্বামীর অমঙ্গল হবে? যে স্বামী দুপুরে খেয়ে-দেয়ে এসে আমাকে নিয়ে যাবে না-কি যে স্বামী বিয়ের পর বিদেশ গিয়ে আর ফিরে আসেনি!


গ্রামে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায় অল্প বয়সে। সপ্তম বা অষ্টম শ্রেণীতে থাকতেও আমার অনেক বান্ধবীর বিয়ে হয়েছে। আমি এসএসসি দিলাম। তবুও আমার বিয়ে হয়নি। কলেজে লেখাপড়ার সুযোগ হয়নি পরিবারের জন্য। একটা অন্যরকম সমাজে আমি বড়ো হয়েছি। এই আধুনিক যুগে এসেও আমাদের গ্রামে মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে আপত্তি আছে। কলেজে গেলে মেয়েরা বিগড়ে যাবে। মেয়েদের বেশি পড়তে হয় না। মেয়েদের কাজ হলো ঘর সামলানো। এসব শুনেই দিন পার করেছি। কিন্তু বিয়ে হচ্ছে না আমার। বাবা একদিন ঘটকের মাধ্যমে এক পাত্রপক্ষ নিয়ে বাড়িতে হাজির। পাত্রপক্ষ আমাকে দেখতে এসে কোনো প্রশ্ন না করেই উঠে গেল। যাওয়ার সময় বলল, 'আমরা ফোনে জানাব।' 

বুঝা হয়ে গেছে, আমাকে তাদের পছন্দ হয়নি। আমার বান্ধবীদের যখন পাত্র পক্ষ দেখতে আসত। কত সুন্দর করে জানতে চাইতো, "তুমি কতটুকু পড়েছো? রান্না পারো? একটু হেঁটে দেখাও তো। চুলগুলো দেখি কত লম্বা।"

গ্রামে এখনো কুরবানির গরু দেখার মতো মেয়েদের এসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু আমার চেহারার দিকে তাকিয়েই পাত্রপক্ষ উঠে চলে গিয়েছিল। দোষ তাদের নয়। ঘটক যদি পাত্র পক্ষ নিয়ে আসতে পারে তার একটা পারিশ্রমিক সে পাবে। সেই হিসেবে ইনিয়ে বিনিয়ে যাই বলুক। অন্তত এটা হয়তো বলেছে, "মেয়ে দেখতে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ।" 

কিন্তু আমি দেখতে শ্যামবর্ণ তো দূরের কথা। লাকড়ির চূলায় রান্না করলে কড়াইয়ের তলাতে যেমন কালি হয়, আমার গায়ের রং তেমন। আর মজার ব্যাপার হলো, ছোটোবেলা 'এই কালি' ডাকটাও অসংখ্যবার শুনতে হয়েছে আমাকে। আমার সামনের দাঁত উঁচু হওয়াতে দুই ঠোঁট একসাথে করতে পারি না। হাসতে হয় না, সবসময় দাঁত বেরিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ঘটক যদি পাত্রপক্ষকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে নিয়ে আসে, তারা যে এখনো ঘটককে পিটায়নি সেটাই বড়ো ব্যাপার।


আমার যখন প্রথম বিয়ে হয়েছে, তখন আমার বয়স তেইশ। পাত্রপক্ষ রাজী হওয়ার পেছনে কারণ হলো, পাত্র বিয়ের পর দেশের বাইরে যাবে। সেজন্য বিদেশ যাওয়ার খরচ আমার পরিবারকে বহন করতে হবে। আমি বাবাকে বহুবার বলেছি, "বাবা আমি বিয়ে করব না। আমাকে কি তুমি না খাইয়ে তো রাখো না। এভাবে এটাকে বিয়ে বলে না।"

বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিল, "দেখিস, সুখী হবি।" 

আমার আর সুখী হওয়া হলো না। ঘটা করে সারা গ্রাম জানিয়ে আমার বিয়ে হলো। আমার স্বামীকে বিদেশে পাঠানো হলো। বিয়ের পর এক বছর দুই বছর করে সাড়ে চার বছর হলো। আমার স্বামী আর বাড়ি আসে না। ছুটিতেও আসতে পারে। কিন্তু আসার নাম গন্ধ নেই। আমার সাথে সপ্তাহে হয়তো দুয়েকবার কথা হয়। সেটাও না হওয়ার মতো। আসার কথা বললে বলত, "আমি এখন এই দেশে অবৈধ। একেবারে চলে আসতে হবে। আগে নিজের ভবিষ্যত গড়ি, তারপর আসব। তোমার অপেক্ষা করতে হবে না আমার জন্য। দরকার হলে যে টাকা দিয়েছে তোমার পরিবার, সব টাকা আমি এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে দেব।" 

ফলাফল তাই হলো। সংসার আর করা হয়নি আমার। এখন আমার বয়স আটাশ। বাবা আমাকে একবার হলেও সুখী দেখতে চান। সংসারী দেখতে চান। তাই এবার দ্বিতীয় বিয়ের আয়োজন। পাত্র আগেও একটি বিয়ে করেছে। একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী সেই সংসারে থাকেনি। কেন থাকেনি আমি জানি না, জানার কথাও না। সেজন্য আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে ঘরে তুলবেন।


আমরা এক ভাই এক বোন। আমার বড়ো ভাইও কিন্তু কালো। কিন্তু তিনি বিয়ে করেছেন খুব সুন্দরী একজনকে। আমাকে কোনো সুদর্শন ছেলে বিয়ে করবে তো দূরের কথা, কেউ ভুলে বিয়ে করলেও পালিয়ে বাঁচে। দ্বিতীয় বিয়েটাও কতদিন গড়ায় কে জানে! মাঝে মধ্যে ভাবতে বসি, আমার চেয়ে অসুন্দর মেয়েও আছে। কারো ঠোঁট কাটা। কারো অঙ্গ নেই। মুখমণ্ডল আরো অসুন্দর। আছে, এমন হাজারো মেয়ে আছে আমি জানি। তারাও হয়তো আমার মতো স্বপ্ন দেখতে ভুলে যায়। আমাদের স্বপ্ন দেখা মানা। ভাগ্যকে প্রতিনিয়ত মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। 

ভাবি এসে বলে গেল, বর পক্ষ এসেছে। ভাবির হাতে মেকআপ বক্স। আজকে আমাকে সাজানোর দায়িত্ব ভাবির হাতে। প্রথম বিয়েতে আমাকে পার্লারে নিয়ে সাজানো হয়েছিল। এই কালো চেহারাটা প্রলেপ দিয়ে কীভাবে যেন সাদা বানিয়ে ফেলেছিল। আমি প্রথমে হঠাৎ তাকিয়ে ভয় পেয়েছিলাম। আয়নায় তাকিয়ে ভুল করে হলেও একবার ভেবেছিলাম, আমাকে প্লাষ্টিক সার্জারি করায়নি তো? নয়তো আমাকেই কেন আমি চিনতে পারছি না? 

বিপত্তিও কম হয়নি। শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার পর এলাকার মানুষজন নতুন বউ দেখতে এসেছিল। কানে-মুখে অসংখ্য ফিসফিস কথা আমার শ্রবণ এড়ায়নি। এক মহিলা তো কোমরে হাত দিয়ে বলেই ফেলল, "কী জমানা আইলো, চেহারার লগে হাত পায়ের মিল নাই। আমাগো সময় কোনো পার্লার আছিলো না।" 

আমার খারাপ লাগেনি শুনতে। ঐ যে, সবকিছু মেনে নিতে হবে! 

ভাবি সাজানো শুরু করবে তখন আমি বললাম, "ভাবি, আমি সাজব না। আমার চেহারা যেমন, তেমনই থাকুক। মেকআপ দিয়ে আড়াল করার দরকার নেই।" 

ভাবি মনে হয় আমাকে বুঝতে পেরেছে। হাতে মেরিল আর ফেয়ার এণ্ড লাভলী স্নো দিয়ে বলল, "একটু স্নো অন্তত দাও মুখে। তাও যদি না দাও, একটু মেরিল দিতে পারো। শীতকাল এখন, মুখ টানতে পারে।" 

আমি স্নো নয়, মেরিলটাকেই বেছে নিলাম। বরপক্ষও ঘটা করে তেমন কিছু নিয়ে আসেনি। সাত আটজন এসেছেন। কোনো রকমে বিয়ে পড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যাবেন। আমি কবুল বলার অপেক্ষায় থাকি, সেই ভালো। সামনে আরো কতকিছু মেনে নেওয়া শিখতে হবে।


শ্বশুর বাড়িতে যখন প্রবেশ করলাম তখন চারদিক অন্ধকার। কেউ একজনের কণ্ঠে ভেসে উঠল, 'মাত্রই কারেন্ট গেছে। আইসা পড়ব। শীতকালে কারেন্ট গিয়া দেরি করে না।' 

সবাই আশা করে নতুন বউ এসে ঘর আলোকিত করবে। কিন্তু আমি আসা মাত্রই বিদ্যুত চলে গিয়ে পুরো বাড়ি অন্ধকার করে দিলো। ভাগ্য ভালো সেই কথা কেউ বলেনি। বাড়িতেও তেমন কেউ বউ দেখার ভীড় জমায়নি। এদিক থেকেও আমার ভাগ্য ভালোই বলা চলে। এমনিতেই বিদ্যুৎ নেই। অন্ধকারে আমাকে তো দেখাই যায় না। শুধু দাঁত দেখে হয়তো কেউ ভয় পেত। 

আমি ঘরে প্রবেশ করলাম। কোনো বাসরঘর সাজানো হয়নি। আমার স্বামীরও যেহেতু দ্বিতীয় বিয়ে, তাই হয়তো তাদের আয়োজনটাও সংক্ষিপ্ত। আমি খাটে পা তুলে বসেছি। কুপি হাতে ননদ আর শাশুড়ি প্রবেশ করল। আমি ঘোমটা আরেকটু টেনে দেব কি-না ভাবছি। শাশুড়ি বলল, "দেখি তো, বউয়ের মুখটা দেখি।" 

ননদ এসে আমার পাশে বসে ঘোমটা সরাচ্ছে। আমি চোখ বুজলাম। এখনই হয়তো আমাকে দেখে ননদ আর শাশুড়ি মুখে ভেংচি কেটে কিছু বলবে। বুকের ঢিবঢিব বেড়ে গেল। এখনি বলবে হয়তো, এখনি। 

আমাকে অবাক করে দিয়ে শাশুড়ি বলল, "কী ব্যাপার মা, আমি না হয় তোমাকে দেখলাম। তুমি আমাকে দেখবে না? চোখ বন্ধ করে রাখলে আমাকে দেখবে কীভাবে?"

আমি চোখ খুললাম। আমার চোখ ছলছল করছে। কেমন একটা প্রশান্তি অনুভব করলাম। সামনে শাশুড়ি।  ঠিক যেন আমার মা এগিয়ে এলো। আমার পাশে বসে বললেন, "দেখি তো মা তোমার ডান হাতটা।" আমি হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পর মা আমার হাতের আঙুলে আংটি পরিয়ে দিলেন। আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমে উনাকে সালাম করলাম। তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।


ঘরের বাতি নিভিয়ে আমার স্বামী উঠে এলেন বিছানায়। নরম স্বরে বললেন, "স্বর্ণা, আমার একটা মেয়ে আছে। এখন পাশের ঘরে ঘুমিয়ে আছে। সবাই বলে সৎ মা আপন হয় না। তুমি কি আমার মেয়েটার আপন হবে?"

আমি চোখ তুলে তাকালাম। এবারও আমার চোখ ছলছল। শুধু গড়িয়ে পড়া বাকি। বললাম, "আমি সবার আপন হতে চাই। তোমরা আমাকে আপন করে নিবে তো?" 

আমার স্বামী গালে হাতের স্পর্শ দিয়ে বললেন, "অবশ্যই স্বর্ণা। এই সংসার তোমার। এই পরিবারের তুমিও একজন।"


পরদিন সকাল দশটার দিকে ননদ এলো ঘরে। প্রথমে দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলল, "ভাবি আমি কি এই ঘরে আসতে পারি?" 

আমি কিছু বলার আগে ননদ হেসে এগিয়ে এলো। তারপর বলল, "আমার চুলে দুইটা বেণী করে দিবা ভাবি, সুন্দর করে।"

আমি তাকে বিছানায় বসতে বললাম। বেণী করার সময় জানতে চাইলাম, "আমাদের ছোট্ট মেয়েটা কোথায়? আসার পর তো একবারও দেখলাম না তাকে।" 

ননদ নিচু স্বরে বলল, "সে না-কি তোমার কাছে আসবে না। রাগ করেছে। রাতে তাকে কেউ ডাকেনি। তাই সে আসবে না তোমার কাছে। চিন্তা করো না, আমি নিয়ে আসব একটু পরে।" 


তিনদিন পর আমার জ্বর। ননদ বিকেলে মাথায় পানি ঢেলে দিয়েছে। আমি যেন কোনো কিছু বিশ্বাস করতে পারছি না। এই সুখও কী আমার কপালে ছিল? 

দুপুরে শাশুড়ি নিজ হাতে খাইয়ে দেওয়ার সময় বলেছিল, "আমার মেয়ে দুইটা। তুমি আমার বড়ো মেয়ে। আর মা মেয়েকে খাইয়ে দিতে পারে।" 

তখন আমি চোখের পানি আড়াল করতে পারিনি। জ্বর কিছুটা কমেছে মনে হয়। ছোট্ট একটা মেয়ে এলো ঘরে। আমার পাশে বসে বলল, "তোমার কি জ্বর হয়েছে?"

আমি বললাম, "হ্যাঁ, তোমার নাম কী?"

উত্তরে বলল, "আমার নাম হৃদি। আমি ক্লাস থ্রীতে পড়ি।" 

কথাটুকু বলে ছোট্ট একটি হাত আমার কপালে রাখল। তারপর বলল, "মা তুমি তাড়াতাড়ি ভালো হও। ভালো না হলে আমাকে কোলে নিবে কীভাবে?"

আমার চোখ ভরে পানি এলো। আমি বললাম, "আরেকবার মা ডাকো।" 

হৃদি বলল, "মা।"

আমি আবার বললাম, "আবার মা ডাকো হৃদি, আবার ডাকো মা।"

এমন সময় আমার ভাবি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। তারপর বললেন, "এই অবেলা কেউ ঘুমায়? এখন মাগরিবের আজান হবে। আর হৃদি কে? কাকে মা ডাকতে বলছ?"

আমি চোখ কচলে সামনে তাকিয়ে বললাম, "কিছু না ভাবি। কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মনে নেই।"

একটু পর ভাবি ঘর থেকে চলে গেল। আমার মনটা বিষন্নতায় ভরে উঠল। আমি তো কোনো স্বপ্ন দেখতে চাই না। তাহলে কেন দেখলাম এমন স্বপ্ন? 

আমার বয়স এখন আটাশ। দাঁত উচু, কালো বয়ষ্কা একটি মেয়েকে কেউ বিয়ে করতে আসবে না। যার আগেও একটি বিয়ে হয়েছে। আর আমি মাঝে মধ্যেই স্বপ্ন দেখি, আমার দ্বিতীয় বিয়ে হচ্ছে। আমি সংসার করছি। আমি ভালো বর, ননদ আর শাশুড়ি পেয়েছি। সবাই আমাকে কত আপন করে নিয়েছে। এসব স্বপ্ন মাঝে মধ্যেই দেখি। ঘুম ভেঙে গেলে মন খারাপ হয়। অনেক দিন হলো মন ভরে কান্না করি না। ভেতরের দলা পাকানো কান্নাগুলো বের করার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি অনেকদিন। বৃষ্টিতে ভিজে কান্না করলে কেউ বুঝতে পারে না, কোনটা বৃষ্টির পানি আর কোনটা চোখের জল! তখন মন ভরে ঝরঝর করে কেঁদে হালকা হওয়া যায়। 

জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলছি, "এই আকাশ, আমাকে এক পশলা বৃষ্টি দিবি? আমি একটু কাঁদব। খুব কাঁদতে ইচ্ছে করছে।"

সমাপ্ত....

গল্প: এক পশলা বৃষ্টি

লেখনীর শেষ প্রান্তে

ওমর ফারুক শ্রাবণ

Comments

Popular posts from this blog

একজন পতিতার প্রেমের গল্প

What are the benefits of exercising in the morning?

Know the right time to exercise