বউ কে হাত খরচ দিচ্ছেন কি?
বাঙালি মেক্সিমাম পুরুষদের স্ত্রীকে আলাদা হাত খরচ দেয়ার অভ্যাস নেই।কারণ অনেক ছেলেই তার বাবাকে দেখেনি মাকে আলাদা খরচ দিতে,বাবাকে দেখেনি মায়ের জন্য পছন্দের কিছু কিনে নিয়ে আসতে(ব্যতিক্রম আছে তবে হাতেগোনা)।অনেক স্বামীরা স্ত্রীকে বলে তোমার প্রয়োজন হলে আমাকে বলবে।অথচ বেশীরভাগ মেয়েই লজ্জা ও সংকোচে স্বামীকে অনেক কিছুই বলে না।অনেক মেয়েরা নিজের প্রয়োজন নিজের বাবা ও ভাইয়ের কাছেই বলেনা।সেখানে বিয়ের পর হাজবেন্ডকে কিভাবে বলবে??
.
তাছাড়া স্ত্রীর ইচ্ছে হতে পারে দান সাদকা করতে,প্রিয়জনদের ছোটখাটো গিফট দিতে,পছন্দের বই কিনতে।ভাবে মেয়ে বাসায় আছে টাকা লাগবে না,অথচ একটা মেয়ের কি আসলেই কিছুর প্রয়োজন হয় না??
.
ছেলে বাড়িতে থাকলেও হাত খরচ পাবে,মেয়ে মানুষের কিসের খরচ??মেয়েরা বাড়িতে থাকে তাই তাদের টাকার প্রয়োজন নেই এটা একটা অযৌক্তিক কথা।প্রয়োজনে ভিক্ষুককেও টাকা দেয়ার টাকাও অনেক মেয়েদের থাকেনা।
.
কয়জন বাবা,ভাই,স্বামী তার মেয়ে,বোনকে,স্ত্রীকে হাতখরচের টাকা দিচ্ছে??হাত খরচ দেয়ার কথা অনেক পুরুষদের মাথায় ই থাকেনা।বাসায় খাচ্ছে পরছে আবার টাকা লাগবে কেন??
.
পরিবার থেকেই আগলে রাখুন নারীদের।আপনি নিজের মেয়ের জন্য সব করবেন,স্ত্রীর জন্য কিছুই না।এটা কখনোই ইসলাম বলেনা।
..
জননীর কদর নেই।জননীর বাচ্চার কদর!!!!ইসলাম নারীর যে অধিকার দিয়েছে একজন পুরুষ হিসেবে নিজের ঘরেই সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
.
নিজের ঘরের মেয়েদের কে সামান্য করে হলেও হাত খরচের অভ্যাস গড়ে তুলেন ভাইয়েরা।কারণ মেয়েদের এমন অনেক খরচ আছে যা মেয়েরা বাবা,স্বামী,ভাই থেকে চাইতে লজ্জাবোধ করে।
.
বাবা ও ভাই থেকে অনেক মেয়েরা টাকা চেয়ে নিতে পারে।কিন্তু স্বামীর কাছে অনেক মেয়েরাই টাকা চাইতে পারেনা।বউদের দোষ বেশী থাকে।কিছু টাকা খরচ করলেও দিন শেষে হিসাব হয় এই টাকা কোথায় খরচ হল?বউ অনেক খরুচে!!মেয়েরা যেহেতু লাজুক তাই মাসে একটা ফিক্সড এমাউন্ট বউকে দিয়ে বলুন এই টাকা তোমার ইচ্ছেমতো খরচ করো।
আপনি আপনার স্ত্রীকে তার ন্যায্য প্রয়োজনে টাকা দেওয়ার পর কখনো খোঁটা দিতে পারবেন না। এই অধিকার আপনার নেই।
বরং তার ভরণ-পোষণ সহ নিত্য প্রয়োজনাদি মেটানো আপনার নৈতিক দায়িত্ব এবং ধর্মীয় কর্তব্য। যেমন- বাড়িওয়ালার ভাড়া চুকানোর সময় আমরা কখনো এমনটা ভাবি না যে, এটা তার প্রতি আমার অনুগ্রহ। দোকানীকে বিল দেয়ার সময় আমরা কখনো মনে করি না যে, তার প্রতি দয়া করছি। বরং কেউ যদি কখনো এদের সাথে অনুগ্রহ সূলভ আচরণ করে, তার কপালে চড় থাপ্পড়ও জুটতে পারে।
কখনো স্ত্রীকে বলবেন না, 'সারাদিন এতো টাকা টাকা করো কেন? টাকা দিয়ে কী করো? কামাই করো না তো, তাই বুঝো না কত কষ্টে এই টাকা কামাই।'
এখন অভিভাবক হিসাবে কি দায়িত্ব আপনি পালন করলেন তার জবাব সৃষ্টিকর্তাকে কি দিবেন?বাবা ভাই যখন অভিভাবক ছিলেন তখন আরাম আয়েশে নানান আবদারে জীবন কাটানো মেয়েটিও আপনার কাছে এসে হাসিমুখে বলে "কিছু লাগবে না।" তার এই কথার পিছনের প্রয়োজন আপনি না বুঝলেও তার বাবা ভাই কিন্তু বুঝতেন।
Comments
Post a Comment