পরিকল্পনামূলক জবাবের গল্প
লিখেছেনঃ মোঃ জোবায়ের বাপ্পী। চারদিকে ঝিকমিক আলো জ্বলছে। কথার শোরগোলে চারপাশ ভরে উঠেছে। কিছুক্ষণ পরপর ক্যামরার ফ্ল্যাশের শব্দ হচ্ছে। স্টেজে একেক দল উঠছে আর নানান ভঙ্গিতে ছবি তুলে নামছে। পরিবেশটা মুখোরিত। কারণ আজ আতিকের বিয়ে। কিছুক্ষণ পর নববধূ রিমাকেও স্টেজে আনা হলো। আতিকের বন্ধুরা স্টেজে উঠে আতিককে উপহার দিতে লাগল। তার বন্ধু সিয়াম তাকে একটা প্যাকেট দিয়ে বলল, “নে ধর, আজ রাতে তোর কাজে লাগবে।” বাকিরা সবাই মুচকি হেসে উঠলো। তারপর মাহিন একটা বক্স দিয়ে বলল, “এটা অনেক কষ্ট করে এক বন্ধুকে দিয়ে বিদেশ থেকে আনিয়েছি। এক ফাইলেই যথেষ্ঠ। তুইও সুখী ভাবীও সুখী।” হো হো শব্দে স্টেজ মেতে উঠলো। কিন্তু রিমা লজ্জা ও ঘৃণায় লাল হয়ে উঠলো। তবে কিছু বলতে পারলো না। স্টেজের সবাই হাসিতামাশা করলেও আসাদ একদম চুপ করে রইলো। এই সকল কথাবার্তা তার একদম পছন্দ নয়। তাই সে একপাশে দাঁড়িয়ে রইলো। সময়ের সাথে আয়োজন নীরব হয়ে গেল। এক পর্যায়ে বরপক্ষ কনেকে নিয়ে যাত্রা করলো। সমাপ্তি হলো আলোকসজ্জার অধ্যায়। পরেরদিন বিকালে সবাই একত্র হয়ে আড্ডা দিতে লাগল। আলোচনার বিষয়বস্তু হলো আতিকের বাসররাত। সিয়াম বলল, “মামা, কেমন হলো বাসররাত? জিতেছিস নাকি হ...