Posts

ছাগল পালনের সুবিধা ও ছাগল পালনের অসুবিধা

Image
ছাগল ছাগল পালন বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উপার্জনের মাধ্যম নয়, বরং খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে। ছাগল পালন সম্পর্কে বিশদ তথ্য এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আলোচনা করার আগে এটির পেছনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। তাই, আজকের এই পোস্টে, ছাগল পালনের সুবিধা ও ছাগল পালনের অসুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। ছাগল পালনের পটভূমি বাংলাদেশে ছাগল পালন একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। গ্রামীণ এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবারই কিছুসংখ্যক ছাগল পালন করে থাকে। এর মূল কারণ হলো, ছাগল অন্যান্য গবাদি পশুর তুলনায় ছোট ও ব্যবস্থাপনা সহজ। ছাগলের মাংস বাংলাদেশের মানুষের খাদ্যতালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে, বিশেষ করে গ্রামের মানুষদের মধ্যে। এছাড়া, ছাগলের দুধও বেশ জনপ্রিয়, যা পুষ্টি ও স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ছাগল পালনের সুবিধা কম খরচ ও কম জায়গার প্রয়োজন: ছাগল পালনে অন্যান্য গবাদি পশুর তুলনায় খরচ অনেক কম। ছাগলের খাবার, চিকিৎসা, এবং আশ্রয়ের জন্য তেমন বড় পরিমাণের বিনিয়োগের প্রয়োজন...

মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক সময় জেনে নিন

Image
মধু ও কালোজিরা মধু ও কালোজিরা দুটিই প্রাকৃতিকভাবেই অসাধারণ উপাদান, যা একসাথে খাওয়ার ফলে শরীরে অসাধারণ গুণাবলী দেখা দেয়। বিশেষ করে সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খেলে এর উপকারিতা আরও বৃদ্ধি পায়। তাহলে চলুন, মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার সঠিক সময়। তবে, সূর্য ওঠার আগে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। কারণ, এই সময় আমাদের শরীর বিশ্রাম থেকে উঠে নতুন করে কাজ শুরু করে। তাই এই সময় ১ চামচ মধুর সাথে পরিমাণ মতো কালোজিরা খেলে শরীর পুষ্টিকর উপাদানগুলো দ্রুত শোষণ করে এবং এর সর্বোচ্চ সুফল পাওয়া যায়। সর্বোপরি, সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত খেলে আপনি উপরে উল্লিখিত বিভিন্ন সুফল পাবেন। তবে, মনে রাখবেন, কোন কিছুই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। তাই, নিয়মিত ও পরিমিতভাবে মধু ও কালোজিরা খেয়ে সুস্থ থাকুন।

পুরুষের জন্য তার হাতে ও পায়ে মেহেদী দেওয়া কি বৈধ?

Image
প্রশ্ন:কোনো পুরুষের জন্য তার হাতে ও পায়ে মেহেদী দেওয়া কি বৈধ? উত্তর : না, কোনো পুরুষ ব্যক্তির জন্য তার হাতে ও পায়ে মেহেদী দেওয়া বৈধ নয়। কেননা হাতে পায়ে মেহেদী দিবে মহিলারা, পুরুষরা নয়। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পুরুষের সুগন্ধি এমন হবে যার সুগন্ধ প্রকাশ পায় কিন্তু রং গোপন থাকে এবং নারীর সুগন্ধি এমন হবে যার রং প্রকাশ পায় কিন্তু সুগন্ধি গোপন থাকে’ (তিরমিযী, হা/২৭২৮)। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক মহিলা পর্দার আড়াল থেকে একটি কিতাব হাতে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে বাড়িয়ে দিল। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাত না বাড়িয়ে বললেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না এটা কোনো পুরুষের হাত নাকি মহিলার হাত? সে বলল, বরং মহিলার হাত। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি মহিলা হলে অবশ্যই তোমার নখগুলো মেহেদী দ্বারা রঞ্জিত করতে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪১৬৬; নাসাঈ, হা/৫০৮৯)। সুতরাং হাতে পায়ে মেহেদী দেওয়া মহিলাদের বৈশিষ্ট্য, তাই পুরুষদেরকে অবশ্যই এ থেকে বিরত থা...

বদনজরের ( রুকইয়াহর) গোসলের নিয়ম:

Image
বদনজরের ( রুকইয়াহর) গোসলের নিয়ম: প্রথমে একটি বালতি বা গামলায় পানি নিবেন। এরপর সেই পানিতে দুইহাত কবজি পর্যন্ত ডুবিয়ে নিম্নে বর্ণিত দরুদ শরিফ ও সুরাগুলো পড়বেন:  ১) দরুদ শরিফ (যেকোন দরুদ)   ৭বার ২) সুরা ফাতিহা                            ৭ বার ৩) আয়াতুল কুরসি                      ৭ বার ৪) সুরা কাফিরুন                         ৭ বার ৫) সুরা ইখলাস                            ৭ বার ৬) সুরা ফালাক                            ৭ বার ৭) সুরা নাস                                 ৭ বার ৮) শেষে আবার দরুদ শরিফ পড়বেন                  ...

স্বাস্থ্য খেয়াল এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা

Image
💠অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করেন প্রতিদিন খাবারের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন দুর্বলতা কিভাবে কাটানো যায় তাদের জন্য খুবই উপকারী পোস্ট  ✍️শারীরিক_দুর্বলতা / #Weakness ⭕বিভিন্ন কারণে শারীরিক দুর্বলতা অনুভব হয় - 💠 রক্তের প্রেশার কম থাকলে 💠 ডায়রিয়া হলে 💠 হস্তমৈথুন করলে (যৌ -ন দুর্বলতা) 💠 অবসাদগ্রস্ত (সারাদিন শুয়ে-বসে থাকলে) 💠 পরিমিত ঘুম না হলে ⭕শরীর দুর্বল লাগলে / পুষ্টিহীন ব্যক্তি (যাদের ওজন কম) এই খাবারের লিস্ট টা দৈনিক ফলো করতে পারেন - ☑️ খেজুর (৪-৬ টা) + শসা → এটি যৌনশক্তি বাড়ায়... দৈনিক খেজুর অতিরিক্ত খাবেন না... গ্লুকোজ লেভেল বেড়ে যেতে পারে... ☑️ কলা (১/২ টা) → আয়রনের প্রধান উৎস... ☑️ সিদ্ধ ডিম (১/২ টা) → ডিমের সাদা অংশে থাকে অ্যালবুমিন প্রোটিন আর কুসুমে থাকে গ্লোবিউলিন প্রোটিন... কম খরচে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন... ☑️ মাছ / মাংস → দৈনিক এক বেলা খাবারে মাছ / মাংস রাখতে পারেন... অথবা সপ্তাহে ৩/৪ দিন মাছ/মাংস রাখা উচিত... নাহয় শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দিবে... ☑️শাক-সবজি → এতে আছে ডায়েটারি ফাইবার আর প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন... ডায়েটারি ফাইবার পায়খানা কে নরমাল রাখে... ☑️ পরিমিত প...

বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ।

Image
বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিক সারের কাজ। আমরা কৃষি জমিতে সবাই বিভিন্ন রকম সার ব্যবহার করি। কিন্তু কোন সার ফসলের জন্য কি কাজ করে তা আমরা অনেকে জানি আবার  জানি না, এমনকি জানার চেষ্টাও করিনা। কিন্তু ভাল ফসল উৎপাদনের জন্য এটা জানা খুবই জরুরী। নিচে কোন প্রকার রাসায়নিক সারের কি কাজ তা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।  #ইউরিয়া: ইউরিয়া সার গাছের ডালপালা, কান্ড ও পত্রের বৃদ্ধি সাধন করে। এই সার গাছপালাকে গাঢ় সবুজ রং প্রদান করে। এর নাইট্রোজেন পাতার সবুজ কণিকা বা ক্লোরফিলের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং উদ্ভিদের প্রোটিন উৎপাদনে সহায়তা করে। #টিএসপি: টিএসপি, ডিএপি বা ফসফেট জাতীয় সারের ফসফরাস গাছের প্রথম পর্যায়ের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া উদ্ভিদের জীবকোষের বিভাজনে অংশগ্রহণ করে এবং গাছের মূল বা শিকড়ের গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তাছাড়া সময় মতো গাছকে ফুল ও ফলে শোভিত করে এবং ফলের পরিপক্কতা ত্বরান্বিত করে।  #পটাশ: এমপি সার বা পটাশ সারের পটাশিয়াম পাতার ক্লোরফিল তৈরির অবিচ্ছেদ্য অংশ যা শর্করা প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং সেগুলির দেহাভ্যন্তরে চলাচলের পথ সুগম করে। এই সার নাইট্রোজেনের কার্যকারিতার পরিপূরক এবং পোকামাকড় ও ...

অল্প বয়সে বিয়ে করুন

Image
যৌন চাহিদা হচ্ছে ক্ষুধার মতো! ক্ষুধা লাগলে যেমন খাবার প্রয়োজন হয় , তেমনি নারী পুরুষ একটি নির্দিষ্ট বয়সে উপনীত হলে তাদের যৌন চাহিদা সৃষ্টি হয় ৷ এটা আল্লাহর একটি সৃষ্টি। তাই প্রতিটি ছেলে মেয়ের উপযুক্ত বয়সে বিবাহ হওয়াটাই শ্রেয়। কিন্তু আমাদের সমাজে পড়াশোনার নামে , ক্যারিয়ার গড়ার নামে উপযুক্ত সময় থেকে অনেক পরে ছেলে-মেয়েদের বিবাহ দেয়া হয়।  ফলে যৌন চাহিদার বর্শবর্তি হয়ে যেনা ব্যভিচারে পা বাড়ায় যুবক যুবতীরা ৷ আর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক ৷ কারণ আপনি যদি একটি বিড়াল পালেন , আর তাকে খেতে না দেন তাহলে সুযোগ পেলেই বিড়াল আপনার হাড়ির খাবার চুরি করবে ৷ অভিভাবকরা ইচ্ছে করেই ছেলেমেয়ের বিয়ে দেরীতে দিচ্ছে , সুতরাং যেনা তো হবেই ৷ আপনার মেয়ে অন্য ছেলের সাথে তো পালাবেই ৷ এটা আপনারই কর্মফল ৷ সরকারি বিধান মোতাবেকও যদি একজন নারীর বিয়ের বয়স ১৮ বছর এবং একজন পুরুষের বিয়ের বয়স ২১ বছর হয় তারপরও অনেক অভিভাবকেরা ছেলের বয়স নিয়ে গেছে ৩০/৩৫ এ এবং মেয়ের বয়স নিয়ে গেছে ২৫/২৮ এ ৷ অথচ ইসলামিক রাষ্ট্রে ছেলে মেয়েদের এত দেরীতে বিবাহ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই ৷ অভিভাবকের কাছে এখন বিবাহ হয়ে গেছে কঠিন তাই যেনা হয়েছে সহজ ৷  এর জন্য ...