প্রাপ্তির পরিশেষে
আমার বাবা আমাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছিল দীশাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম বলে। হাজারো বার মানুষের মুখে আমাকে শুনতে হয়েছে দীশা টাকার লোভে আমার সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছে। আর দীশাকে শুনতে হয়েছে, ধনীর ছেলেরা শুধু প্রেম করে চলে যায়। বিয়ে করে না। কিন্তু আমরা জানতাম আমরা দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসি। বাড়ি ভর্তি মানুষের সামনে বাবা বলেছিল, " আমার টাকা ছাড়া তুমি এক পা ও চলতে পারবে না। বাইরের জীবন এত সহজ না। তুমি আজ ঐ ফকিন্নি মেয়ের জন্য আমার কথার অবাধ্য হচ্ছো। তাই আমি তোমার ফেরত আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছি। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তোমার পা যেন এই বাড়িতে না পড়ে। " কথাটা শোনার পর এক মিনিটও আমি সেখানে দাঁড়াই নি। সম্পূর্ণ শূন্য হাতে বেরিয়ে এসেছিলাম। সত্যিই বাইরের জীবন টা আমার জন্য সহজ ছিল না। বাবা মায়ের ভাষ্যমতে সোনার চামচ মুখে জন্মগ্রহন করেছিলাম আমি। ঘুম থেকে উঠে বেডসাইড টেবিলে চা কফি রেডি থাকতো। বাড়ি ভর্তি চাকর। মুখ দিয়ে হা করতেই সবকিছু চোখের সামনে হাজির। প্রাইভেট কারে ভার্সিটি যেতাম। ইচ্ছামতো দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াতাম। বাবার ব্যাংক ভর্তি টাকা ইচ্ছামতো উড়াতাম। কিন্তু জীবনটা হঠাৎ পাল্টে গেল কারো প্রেমে প...