বিয়ে ঠিক এইভাবেই করবো ইনশাআল্লাহ
~ ১. কোনো এক শুক্রবার, জুমার সালাতের পর সামান্য কিছু মানুষ নিয়ে বিয়েটা সম্পন্ন করতে চাই। সাথে থাকবে কিছু খেজুর,খুরমা আর মিষ্টি।
~ ২. যেহেতু বিয়ে মসজিদে হবে, সেখানে থাকবে না কোন বক্স,বাদ্যযন্ত্র, নারী পুরুষের অবাধ চলাফেরা। গায়ে হলুদের মতো হাজারো কুসংস্কার থেকে মুক্ত হবে বিয়েটা।
~ ৩.সেদিন স্ত্রী লাল শাড়ি,ইত্যাদি দিয়ে সাজতে পারবে কিন্তু ঠোঁটে লিপস্টিক কোনোভাবেই দেওয়া যাবেনা, (কারণ আমার কাছে লিপস্টিক পছন্দ লাগে না)। তবে আমার পাঠানো কালো কুচ কুচে হিজাব উপরে পড়তে হবে। ☺
~ ৪.যৌতুক আমি নিবো, , তবে যদি সবাই শুকরের মাংস দিয়ে দাওয়াত খেতে রাজি হয়। জানি কেউ এমন দাওয়াতে রাজি হবে না। তাই আমিও যৌতুক নিবো না। কারন দুটোই হারাম।
~ ৫. তাহলে কি আমার বিয়ের অনুষ্ঠান হবে না।
অবশ্যই হবে। বিয়ের কয়েকদিন পরে.....
কিছু আত্মীয়স্বজন ও আলেম সমাজের লোক, কিছু তালিবুল ইলম আর কিছু মসজিদের সাথে জড়িত মুরব্বিদের দাওয়াত করে খাওয়াবো।
সুদখোর, ঘুষখোরদের খাওয়াতে পারবো না।
~ ৬. দেনমোহরের টাকা প্রথমেই পরিশোধ করে দিবো ইনশাআল্লাহ। বিয়ের প্রথম দিনেই স্ত্রীর কাছে লজ্জিত হতে চাই না।
~ ৭.একটা প্রথা হলো.....
ছেলের বাড়ি থেকে শত শত মানুষ মেয়ের বাড়িতে খেতে যায়। আবার মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে খেতে আসে। এটা অপচয় এবং জুলুম। এমন জুলুম করতে পারবো না।
~ ৮. আমি কোটি কোটি টাকা দেন মোহর দিয়ে বিয়ে করতে পারবো না। সাধ্যের ভিতরের দেনমোহর ধার্য করবো। মেয়ে পরিবার বিশাল দেনমোহর ধার্য করে থাকে যেন, ছেলেটি বৌকে তালাক দিতে না পারে। এদের বুঝাবে কে এর ফলে স্বামী স্ত্রী জেনাতে লিপ্ত হয়।
~ ৯. আমি যদি ১০ টাকার মালিক হই তাহলে ৭ টাকার মালিকের মেয়েকে বিবাহ করবো। কারন স্ত্রীর পরিবার যদি স্বামীর পরিবারের চেয়ে উন্নত ও সম্পদশালী হয় তাহলে স্ত্রীর দেমাগ বেশী হয়।কথায় কথায় বাপের বাড়ির বড়াই করবে। বাপের বাড়িতে এই করেছি,সেই করেছি তোমার এখানে কষ্টে আছি ইত্যাদি ইত্যাদি। [সবার ক্ষেত্রে না]
Comments
Post a Comment