Posts

Showing posts from June, 2018

ভালোবাসার কষ্ট

দুই বছর হতে চলেছে অর্পা আর ইমরানের বন্ধুত্বের।খুব ভাল বন্ধু তারা।একে অপরের কাছে সব কিছুই শেয়ার করে।কেউ কাউকে ছাড়া একটা মূহুর্তও থাকতে পারে না।কিন্তু কয়েকদিন হয় ইমরান অর্পার মাঝে কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে।অর্পা আগের মত আর ইমরানকে সময় দেয় না,ফোনে কথা বলার সময়ও ব্যাস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়।কিন্তু কেন অর্পা এমন করছে তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছে না ইমরান।এ ব্যাপারে অর্পাকে কিছু জিজ্ঞেস করলেও অর্পা চুপ করে থাকে।অর্পার এই কয়েকদিনের পরিবর্তন ইমরানকে আচ্ছন্ন করে ফেলছে।কারন ইমরান যে অর্পাকে তার মনের কুঠিঁরের খুঁটি বানিয়ে ফেলেছে।মনের অন্ত গহীনে জায়গা দিয়ে ফেলেছে তাকে।অর্পাকে ছাড়া একটা মূহুর্তও থাকতে পারছে না ইমরান।সারাক্ষন অর্পার ভাবনায় বিভর থাকে সে।হয়তো এটাই ভালোবাসা।ইমরান অর্পাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছে। | অর্পার সাথে ইমরানের প্রথম পরিচয় হয় বাস স্টপে।গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে।অনেকক্ষন ধরে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছে সে।মাথাটা প্রায় ভিজে গেছে।হঠাত্ খেয়াল করলো তার মাথার উপরে কেউ একজন ছাতা এগিয়ে ধরেছে।মাথাটা ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে কাজল কালো চোখে তার দিকে চেয়ে আছে।ঠোঁটের কোন এক চিলতে হাসির ...

ভালোবাসার শেষ ইচ্ছা

এই সজল উঠ,উঠ।পানি ঢাললাম কিন্তু উঠ বলছি।(সুমু) --কি হয়েছে?? এত রাতে ডাকতেছিস কেন?যা তো ডিস্টার্ব করিস না তো ঘুমাতে দে। আর কি পানি আমার মুখে।লাফিয়ে উঠে এইটা কি করলি??পানি দিলি কেন??(রাগ করে) --তুই উঠস না কেন।এতক্ষণ ধরে ডাকতেছি।চল আইসক্রিম খেতে যাব।(সুমু) --এতরাতে।।কয়টা বাজে জানিস?? রাত ১২টা।এতরাতে আইসক্রিম তোর জন্য বসে আছে। তুই কি যাবি কিনা বল নাকি অন্য ব্যাবস্থা করব??(সুমু)  --যাব না যা করার কর বলতেই আমার গলা চেপে ধরেছে।কি করছিস ছাড়।লাগছেতো ছাড়। --আগে বল যাবি কিনা বল??? --ওকে যাব,ছাড়। --সত্যি বলছিসতো??নাহলে কিন্তু... --সত্যি বলছি যাব,ছাড় এইবার?? --যা ছেড়ে দিলাম।এখন চল তাড়াতাড়ি? --শান্তিতে ঘুমাব তাও পারি না।কিসের জন্য যে আম্মু এই মেয়ের বাসার পাশে বাড়ি করল।আমার জীবনটাই শেষ।বাসায়টা মনে হয় ওর যখন তখন আসে।আম্মু আব্বুও কিছু বলে। কি বলবে তাদের সামনে তো উনি ভাজা মাছ উল্টে খেতে জানে না। --কিছু বললি তুই?? --না কি বলব।আমার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে যে তোকে কিছু বলব।চল.. বাসা থেকে বের হয়ে হাঁটছি দুজনে --কি যে ভুতে ধরে তোরে মাঝেমাঝে।এতো রাতে কোন দোকান খোলা থাকবে না আইসক্রিমওয়ালা তো দূরের কথা। ...

একটু একটু ভালোবাসা

মায়িশা আমার হাত ধরে টানতে টানতে আজহার ভাইয়ের বাসা থেকে বের করে দরজার সামনে এনে একটু জোরেই বললো “জাহেদ তুমি অফিসের কাজে ঢাকায় গিয়েছো তাই নাহ?” আমি কি বলবো বুঝতে পারি না। ইতি মধ্যে অনেক কথা বলে ফেলেছে আমাকে। যা আমি নিস্তব্দ হয়ে হজম করেছি। আজহার ভাই চুপ করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একবার আজহার ভাই এর দিকে তাকাই আর একবার মায়িশার দিকে তাকাই। আমার মনের ভিতর যে সুর বয়ে চলে তা আমি কখনো প্রকাশ করি না। কেন যেন করতে ইচ্ছে করে না। আমি মানুষটা সাদা সিধে হলেও নিজের প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে একটা তৃপ্তি মাখা চেহারায় কথা বলতে ইচ্ছে করে। আমার এই কথা বলার সম্ভাবনাটা অনেক মানুষ পছন্দ করে আবার অনেকে করে না। তবু এই আমি আমাকে মিলিয়ে এই শহরের নিক্রোপলিশে দিব্বি নিশ্বাস নিচ্ছি। প্রিয় পাঠক হয়তো একটু কঠিন করে বলে ফেলেছি। তবে আপনারা যা ভাবছেন আমি মানুষটা মোটেও এমন না। অনেকটা মিচকা শয়তানের মত বলা চলে। এটা আমার কথা না। এটা মায়িশার কথা। সে আমাকে মিচকা শয়তান মনে করে। বিশিষ্ট লেখক হুমায়ূন আহমেদ অনেক উক্তি করে গিয়েছে। অবশ্য তার লেখা আমি কখনো পড়িনি। অবাক হলেও হতে পারেন তবে এটা সত্য। তার উক্তির মধ্যে একটা উক্তি ছিলো “ভা...

ভালোবাসার বন্ধন

-- জয়িতা আমার কথা শোন,প্লিজ যেও না। রিফাতের হাত থেকে বাচার জন্য আমি প্রাণপনে ছুটছি।কেন জানি মনে হচ্ছে ও আমাকে ধরতে পারলে মেরে ফেলবে।আমি আর ছুটতে পারছি না।ধপ করে বসে পড়লাম।ও আমার কাছে চলে এসেছে। --রিফাত আমাকে মেরোনা প্লিজ, আমি ভয়ার্তস্বরে বললাম। -- জয়ী আমার কথা শোন,আমি তোমাকে কেন মারবো? সত্যিই তো।ওকে আমি কেন ভয় পাচ্ছি।ও তো আমাকে ভালোবাসে।আর আমিও।আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম।কি নিষ্পাপ নিরীহ লাগছে ওকে!! ও আমার দিকে হাতটা বাড়িয়ে দিল।আমি ওর হাতটা ছুতে গেলাম।কিন্তু তার আগেই ও হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। . --জয়ী ভয় পেয়েছ নাকি?নাও পানি খাও।কি হয়েছে? ইশানের কথায় বাস্তবে ফিরে এলাম।এতক্ষণ তাহলে স্বপ্ন দেখছিলাম। -- তুমি কখন উঠলে? না ভয় পায়নি। তুমি শুয়ে পড়। -- আসো মাথায় হাত বুলিয়ে দিই। -- লাগবেনা, আমি ওয়াশরুমে যাবো। -- আচ্ছা যাও, ঘেমে নেয়ে একাকার হয়ে গেছো, চোখে মুখে পানি দিয়ে এসো। আমি ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে বসে বসে কাঁদছি। অনেকক্ষণ পর ইশান দরজা ধাক্কাচ্ছে -- জয়িতা বেশী ভিজো না ঠান্ডা লাগবে কিন্তু। আমি বাইরে চলে এলাম -- তুমি এখনো না ঘুমিয়ে জেগে আছো কেনো? (আমি) -- ঘুম আসছেনা। তুমি বসো আমি তোমার মাথা মুছে চ...

ভালোবাসার আলিঙ্গন

আসবে একটু। ' আজকে গরমটা একটু বেশীই।ফ্যানের বাতাসটাও কেমন যেন গরমের কাছে হার মেনে গেলো।আমি আরও একবার হাত ঘড়িটার দিকে তাকালাম।সময় প্রায় হয়ে গেছে।কিন্তু মেয়েটা এখনও আসছে না কেন।একটু ভেতরের দিকে দেখা যাক। ' আশেপাশে অনেককেই দেখতে পেলাম।এত মানুষের মাঝে ওকে কিভাবে খুজে পাবো।এদিকে ওর ফোনটাও বন্ধ পাচ্ছি।আমি ইতির ক্লাসের দিকে এগুতেই দেখি মেয়েটা বেশ ছায়াওয়ালা গাছের নিচে ফ্রেন্ডদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে।দূর থেকে ওর হাসি মাখা মুখটা দেখতে বেশ লাগছে।অনেকদিন পর দেখা তো তাই একটু বেশীই ভাললাগা কাজ করছে। আমি ওদের সামনে গিয়ে ইতির দিকে তাকিয়ে বললাম, -আসবে একটু। আমার কথায় সবাই মুখ ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকালো।তবে ইতির তাকানোটায় কেমন যেন অন্য রকম আভা দেখতে পেলাম।আসলে ও হয়তো আমাকে এসময় এখানে কোনভাবেই আশা করেনি।আমি ইতির দিকে তাকিয়ে আবারও বললাম, -আসবে একটু। আমার কথায় ইতি মাথা নাড়িয়ে উঠে দাঁড়ালো। ওদের থেকে বিদায় নিয়ে আমার পাশে এসে বললো, -হুম চলো। ইতির কথায় আমি ওর সাথে হাটতে শুরু করলাম।আসলে এতদিন পর এভাবে আমাকে এখানে দেখে ও বেশ কিছুটা অবাক হয়েছে।ইতির সাথে হাটতে বেশ লাগছে।চারিদিকের  নীরবতা ভেঙে আমি বললাম, -কেমন আছ...