চুয়াডাঙ্গা জেলার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ১৮৫৯ সালে চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ ও বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন স্থাপিত হয়। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হলে নদীয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহকুমা সদর দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থানান্তর করা হয়। এর ফলে চুয়াডাঙ্গা তখন নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা ও সর্ববৃহৎ ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় চুয়াডাঙ্গা মহকুমা নবগঠিত কুষ্টিয়া জেলার সাথে একীভূত হয়ে পাকিস্তান (পূর্ব বাংলা) অন্তর্ভুক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা ১৯৮৪ সালে কুষ্টিয়া থেকে বিভক্ত হয়ে স্বাধীন জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম কমান্ড দক্ষিণ-পশ্চিম কমান্ড গঠিত হয়। বাংলাদেশের প্রথম ডাকঘরটিও চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত।
যুদ্ধের সময় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে - চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পিছনে, নাতুদহ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে তিনটি গণকবর, জীবননগর সীমান্তবর্তী ধোপাখালি গ্রামে এবং আলমডাঙ্গা রেল স্টেশনের কাছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ খালের তীরে। এখানে যুদ্ধের দুটি স্মৃতিসৌধ রয়েছে।
১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা মহকুমা বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি চুয়াডাঙ্গা একটি জেলার মর্যাদা লাভ করে। আজিজুল হক ভূঁইয়াকে প্রথম জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এ সময় চুয়াডাঙ্গা মহকুমার চারটি থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়। থানাগুলো হলো আলমডাঙ্গা, জীবননগর, দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা।
অবস্থান ও আয়তন:
চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন ১১৭০ দশমিক ৮৭ বর্গ কিলোমিটার। কুষ্টিয়া জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলার উত্তর-পূর্বে, উত্তর-পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ঝিনাইদহ জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের নদীয়া জেলায় অবস্থিত। জেলার চুয়াডাঙ্গার প্রধান শহর মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
উল্লেখিত চুয়াডাঙ্গা জেলার কিছু ছবি:
 |
কেদারগঞ্জ পাড়া, চুয়াডাঙ্গা |
 |
পুলিশ লাইন্স রোড, চুয়াডাঙ্গা |
 |
কোর্ট মোড়, চুয়াডাঙ্গা |
 |
জজ কোর্ট, চুয়াডাঙ্গা |
 |
গাইদঘাট রেলস্টেশন, চুয়াডাঙ্গা |
 |
রাইশার বিল, চুয়াডাঙ্গা |
 |
কেদারগঞ্জ পাড়া, চুয়াডাঙ্গা |
Comments
Post a Comment